ড্রাগনের দেশে আবারও ডিজিটাল স্ট্রাইক হানল ভারত। ফের চিনাযোগে একসঙ্গে দু’শোরও বেশি অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন দেশের ২০ জওয়ান। এরপর থেকেই নতুন করে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রতিবাদস্বরূপ চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে দেশজুড়ে।
চিনকে ভাতে মারতে তখনই প্রথম অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল শয়ে শয়ে চিনা অ্যাপ। সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর বলে অভিযোগ তুলে দফায় দফায় ব্যান করা হয় জনপ্রিয় সব অ্যাপ। যার মধ্যে ছিল টিকটক থেকে উইচ্যাট, হ্যালো থেকে আলিবাবা ওয়ার্কবেঞ্চ, ক্যামকার্ড। ভারতের ডিজিটাল স্ট্রাইকের কোপে পড়ে অতি জনপ্রিয় গেম PUBG-ও। গত বছরও দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামেনি।
গত বছর ডিসেম্বরে ফের অরুণাচলের তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ইন্দো-চিন সেনা। আর তার পর ফের ডিজিটাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, চিনের সঙ্গে সংযুক্ত ১৩৮টি বেটিং অ্যাপ এবং ৯৪টি লোন লেন্ডিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফের খবর অনুযায়ী, এই অ্যাপ গুলির বিরুদ্ধেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা খর্বের অভিযোগ উঠেছে।
তবে শুধু দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যই অ্যাপ গুলি ক্ষতিকর, এমনটা নয়। এর মাধ্যমে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। দেশবাসীর নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে অ্যাপগুলি। এগুলি ভারতে নিষিদ্ধ হল।