মুম্বই শহরের বাতাস ছিল অত্যন্ত দূষিত। আগামী কয়েকদিন অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে IQAir. দূষক সূচক মাত্রা উদ্বেগজনক জায়গাতেই থাকবে বাণিজ্য নগরীর। সুইস এয়ার মনিটর সংস্থার পরামর্শ, প্রয়োজন ছাড়া যেন মুম্বইকররা বাইরে না বের হন। নিতান্তই বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্কের ব্যবহার করুন। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ। IQAir-এর তথ্য বলছে, মাইক্রোগ্রাম ইউনিটে বাতাসে ধূলিকণার মাত্রা ২১১.৪ ug/m3। যা গোটা দেশের হিসেবে ছিল ১০০। ধূলিকণার মধ্যে রয়েছে সলিড পার্টিকেল, লিকুইড ড্রপলেট। এই ধরণের ধূলিকণা বাতাসে দূষণের মাত্রা দ্রুতহারে বাড়িয়ে তোলে।
শীতের শুরুতেই চেম্বুর, অন্ধেরি, নবি মুম্বই, BKC, মালাড, মাঝগাঁও এলাকায় দূষণ সূচক মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। গোটা শহরে মোট দেড় কোটি টাকা দামের সাতটি মোবাইল মনিটরিং ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলি মাঝগাঁও, জোগেশ্বরী, মহুল, HPCL, টাটা পাওয়ার এবং RCF এলাকার দূষণ সূচক মাত্রা পরিমাপ করবে। চকালা এবং বান্দ্রাতেও এই ভ্যান মোতায়েন করা হবে।
অন্যদিকে, প্রথম পাঁচটি দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং চিনের বেজিং। এ ছাড়াও বাংলাদেশের ঢাকা, চিনের উহান, জাপানের জাকার্তা, পাকিস্তানের করাচিও দূষিততম শহরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
একইভাবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক, বাহারিন, কুয়েত, ইজিপ্ট এবং তাজাকিস্তান। প্রথম ১০টি দূষিততম দেশের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারত।