একের পর এক বিধ্বংসী ভূমিকম্প কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে তুর্কি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রকৃতির এই ধ্বংলীলার জেরে তিন মিটার সরে গিয়েছে দেশটি। অর্থাৎ দেশটির ভৌগলিক অবস্থানগত পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েকঘণ্টায়। পৃথিবীর মানচিত্রে ভূমিকম্পের বড় প্রভাব পড়ল বলেই জানাচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদদের একাংশ।
প্রকৃতির এই ‘তুর্কি নাচন’ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এ প্রসঙ্গে ইটালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জিওফিজিক্স অ্যান্ড ভলক্যানোলজির প্রেসিডেন্ট কার্লো ডগলিনি বলেন, “আনাটোলিয়ান প্লেট থেকে আরব প্লেটের দূরত্ব তিন মিটার বেড়ে গিয়েছে। উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ পশ্চিমে এই আরব প্লেট তিন মিটার পর্যন্ত সরে গিয়েছে।” তিন মিটারের ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে প্রায় ১০০ মাইল বলেই হিসাব কষছেন বিশেষজ্ঞরা।
পর পর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে তুর্কিতে। মঙ্গলবারও দু’বার কেঁপে ওঠে তুর্কি সিরিয়া সীমান্ত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তুর্কি এবং সিরিয়া মিলিয়ে মোট পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তিনমাসের জন্য এমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে তুর্কিতে। আগামী সাতদিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।
তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ৫৪ হাজার তাবুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১ লাখ ২ হাজার শয্যার আয়োজন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তুর্কি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিশ্চিহ্ন হতে বসা এই দেশের প্রতি সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ।